সিনেমা: ফার্স্ট ম্যান, আর্মস্ট্রং চরিত্রে চাঁদে রায়ান গসলিং

লেখকের রায়:

1969 সালের জুলাই মাসে যখন প্রথম মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল তখন তারা কোথায় ছিল এবং তারা কী করেছিল তা কয়জন মনে করতে পারে? এটি একটি খুব বিশেষ দিন ছিল, যা গভীরভাবে মানব সভ্যতার ইতিহাসের পাশাপাশি মহাকাশ জয়ের একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই সপ্তাহের চলচ্চিত্রের সাথে প্রস্তাবিত থিম: প্রথম মানুষরায়ান গসলিং এবং ক্লেয়ার ফয়ের সাথে ড্যামিয়েন শ্যাজেল পরিচালিত।  

গল্পটি নিল আর্মস্ট্রংয়ের জীবনী থেকে নেওয়া হয়েছে যিনি কলম্বিয়ার মহাকাশযানের সিঁড়ি বেয়ে সর্বপ্রথম নেমেছিলেন এবং স্থলজ উপগ্রহে উৎক্ষেপণ এবং অবতরণের পূর্ববর্তী সমস্ত পর্যায়ে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান। পরিচালক, সাবেক লেখক ভাগ্যবান ড লা লা ল্যান্ড, সেই ফলাফল অর্জনের জন্য যে বিশাল মানুষের, সেইসাথে প্রযুক্তিগত, অসুবিধাগুলির একটি ছবি আঁকে। অ্যাপোলো 11 এর আগে, প্রকৃতপক্ষে, অগণিত পরীক্ষামূলক ফ্লাইট ছিল, কিছু যা ট্র্যাজেডিতে শেষ হয়েছিল, যা চাঁদে অবতরণ সম্ভব করেছিল। আর্মস্ট্রং, তার সহকর্মী বাজ অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্সের সাথে, সেই সময়ে সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক সক্ষমতার সীমাতে একটি মিশন সম্পন্ন করেছিলেন। যে কম্পিউটারগুলি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলির মাত্রা সম্পর্কে চিন্তা করুন: আজ সেগুলি একটি সাধারণ ডেস্কটপে ধারণ করা যেতে পারে যখন সেগুলি একটি ঘরের আকার ছিল। আর্মস্ট্রং-এর চিত্রটি এমন একটি যা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করেছে যেটি চন্দ্র পৃষ্ঠ স্পর্শ করার জন্য তার প্রথম পা ছিল, তবে এটি অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত যে একই সুবিধা অন্য ক্রু সদস্যদের একজনের কাছেও পতিত হতে পারে।

তাঁর ব্যক্তিত্ব, যেমনটি চলচ্চিত্রে আমাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে, বিশেষ যোগ্যতার জন্য মনে রাখার মতো গভীরতা দেখা যায় না। চরিত্রটি, কিছুটা লাজুক এবং অল্প কিছু শব্দের, মানবিক এবং প্রতীকী বিষয়গুলির পরিবর্তে প্রযুক্তিগত এবং বৈমানিক দিকগুলিতে সম্পূর্ণরূপে মনোনিবেশিত প্রদর্শিত হয়। এটা প্রায় মনে হয়, এটা তার জন্য, চাঁদে অবতরণ যে কোনো ফ্লাইট মিশনের মত একই অর্থ হতে পারে যা তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল (তিনি একজন পরীক্ষামূলক পাইলট ছিলেন)। আমরা তাকে ঋণী এই বাক্যাংশটি যা অনির্দিষ্টভাবে চাঁদে অবতরণের অর্থ চিহ্নিত করেছে: "মানুষের জন্য একটি ছোট পদক্ষেপ, মানবতার জন্য একটি বিশাল লাফ"। এমনকি এই বাক্যটি, দীর্ঘদিন ধরে স্বতঃস্ফূর্ত বিবেচিত, পরে তার ভাইয়ের মাধ্যমে জানা যায় যে এটি প্রস্থানের আগে থেকেই চিন্তা করা হয়েছিল। এই সব বলতে গেলে চলচ্চিত্রটি গল্পের রূপরেখা দেয়, আর্মস্ট্রং-এর মানুষের গল্প এমনভাবে যা সম্ভবত তার সত্যিকারের প্রকৃতির প্রতি বিশ্বস্ত যা, যাইহোক, আমাদের কাছে যারা এটি দর্শক হিসেবে অনুভব করেছি (এটি ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন ইভেন্ট। , প্রায় অর্ধ বিলিয়ন মানুষ অনুসরণ করে), মুগ্ধতার একটি অংশ কেড়ে নেয়, সেই আবেগের যা '69 সালের জুলাইয়ে সেই দূরবর্তী দিনে অনুভব করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে উপস্থাপিত এই চলচ্চিত্রটি অনেক ক্ষেত্রেই বিরক্তিকর, সংলাপে অপর্যাপ্ত, গল্পের প্যাথোস বোঝাতে অপ্রতুল। নায়ক, রায়ান গসলিং-এর একটি একক অভিব্যক্তি রয়েছে যা সম্ভবত তার জটিলতা এবং মুহূর্তের ঘনত্বে চরিত্রটিকে উপস্থাপন করার জন্য যথেষ্ট ছিল। বৈজ্ঞানিক অংশের জন্য, ইতিমধ্যে পরিচিত এবং অসংখ্যবার দেখা যা কিছু নতুন বা আরও আকর্ষণীয় যোগ করা হয়নি। দীর্ঘ দৃষ্টি শেষে, 2 ঘন্টার বেশি, একজন কিছুটা হতাশ থেকে যায়। আমাদের ইতিহাসের সেই দূরবর্তী দিনের সেই ঘন্টাগুলি, আমাদের স্মৃতিতে, কেবলমাত্র একটি ছোট অংশকেও পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হওয়ার প্রত্যাশা ছিল বেশি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হতাশ হয়েছিল। একইভাবে, মানবতার সমস্ত অংশ যারা সেই অ্যাডভেঞ্চারে মহাকাশে এবং চাঁদে একটি নতুন যুগের সূচনা দেখেছিল, যা পরিবর্তে তখন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, সম্ভবত হতাশ হয়েছিল। 

রেকর্ডের জন্য, এটি একটি সিনেমাটোগ্রাফিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যাহার করা ঠিক, বিতর্কগুলি এখনও চলছে, এই সম্ভাবনার উপর যে স্যাটেলাইটে অবতরণ সত্যিই ঘটেছিল। এমনকি এমন ব্যক্তিরাও আছেন যারা দাবি করেন যে স্ট্যানলি কুব্রিক নিজেই চাঁদে চিত্রায়িত কিছু দৃশ্যের চিত্রগ্রহণের সাথে জড়িত ছিলেন। একটি চলচ্চিত্রও প্রস্তাব করা হয়েছে, মকর এক, যা চন্দ্রের মাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথিত মিথ্যা ট্রিপ সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে বলে।