চীন, বৌদ্ধ মন্দিরগুলি বয়স্কদের অবসর গৃহে পরিণত হয়
চীনের একটি দ্রুত বার্ধক্য জনসংখ্যা রয়েছে: 2012 সালে 60 বছরের বেশি 194 মিলিয়ন লোক ছিল, 2013 এর শেষে অনুমান করা হয় যে তারা 200 মিলিয়নে পৌঁছেছে (জনসংখ্যার 14,8%)। জনসংখ্যাগত বার্ধক্য জন প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তৈরি করে, প্রথমত বয়স্কদের জন্য সহায়তা এবং যত্ন, উভয় স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং আরও সঠিকভাবে অস্তিত্বের দিক থেকে। সমস্যাটি এমন একটি সমাজে আরও জরুরি যেখানে এক সন্তান নীতি নতুন প্রজন্মের জন্য পরিবারের বয়স্কদের যত্ন নেওয়া আরও কঠিন করে তুলেছে। এবং তৃতীয়/চতুর্থ যুগের এই উত্থানেই কমিউনিস্ট শাসন ধর্মের সুবিধাগুলি আবিষ্কার করে, বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের, যা দেশে ব্যাপক। বেইজিংয়ের চায়না ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ জেরোন্টোলজির অধ্যাপক ডু পেং বলেছেন, "সরকারের উচিত নার্সিং হোমগুলিকে তাদের অতিথিদের বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিষেবা প্রদানের জন্য উত্সাহিত করা," এবং প্রতিটি নার্সিং হোমে বিশেষ স্থান সরবরাহ করা হলে এটি একটি দুর্দান্ত অগ্রগতির লক্ষণ হবে। "নামাজের জন্য"। আরও এগিয়ে গিয়ে, অধ্যাপক বলেছেন যে তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজস্ব বিশ্রামের ঘর খোলার পক্ষে, কারণ রোগীরা এই ধরনের কাঠামোতে প্রয়োজনীয় আধ্যাত্মিক সহায়তা পেতে পারেন। এভাবেই বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির নিজেদেরকে অবসর গৃহে সজ্জিত করেছে, যা কিছু অংশে সরকারি তহবিল দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে এবং কিছু অংশে ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান দ্বারা। তাদের মধ্যে একটি হল ফুজিয়ান প্রদেশের জিকিয়াং মন্দির, যেখানে 100 থেকে 71 বছর বয়সী 102 জন প্রবীণ রয়েছে। "বৌদ্ধ সূত্র এবং প্রতিদিনের প্রার্থনার শিক্ষা" 78 বছর বয়সী একজন অতিথিকে পর্যবেক্ষণ করে "আমাকে সেই অভ্যন্তরীণ শান্তিতে পৌঁছানোর অনুমতি দেয় যা আমি বাড়িতে খুঁজে পাইনি"। মন্দিরগুলি সকলকে স্বাগত জানায়, এমনকি অন্যান্য ধর্মের বিশ্বস্ত বা নাস্তিকদেরও, কিন্তু, সন্ন্যাসী শি নেংকিং যেমন দেখেছেন, "এই অতিথিদের অনেকেই, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধর্ম থেকে দূরে, শেষ পর্যন্ত বুদ্ধের দ্বারা জয়ী হয়"।
http://europe.chinadaily.com.cn/china/2013-12/27/content_17199885_3.htm
