আবী আহমেদ, নেতাইথিওপিয়া এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী যিনি তার দেশের একটি অঞ্চলে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে যুদ্ধ ব্যবহার করতে দ্বিধা করেননি, আপনার সময় কি গণনা করা হয়েছে? ভবিষ্যৎ জানা যাবে না, তবে এটা নিশ্চিত যে, 2018 সালে বিশ্বের সমস্ত রাজধানী যাকে দেশের একীভূতকারী হিসাবে প্রশংসা করেছিল, যিনি ত্রিশ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ইরিত্রিয়ার সাথে, ক্রমবর্ধমান সমস্যায় পড়েছে। তিগরিনিয়া বিদ্রোহী এবং তাদের ওরোমো মিত্ররাস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গেটে রয়েছে আদিস আবাবা, পথে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, ডেসি এবং কম্বোলচা জয় করার পরে এবং জিবুতির দিকে প্রতিটি পথ অবরোধ করে, একটি কৌশলগত বন্দর এবং রাজধানীর সরবরাহের কেন্দ্র।
পরিস্থিতির নাটকীয়তা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই জরুরী অবস্থা এবং জাতির কাছে একটি আবেদন সম্বোধন করে যাতে কোনো সন্দেহ নেই: "ধ্বংসাত্মক খোঁচাকে আটকাতে যে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করুন, এটিকে উল্টে ফেলুন এবং এটিকে সমাধিস্থ করুন", আবি লিখেছেন, সমস্ত ইথিওপিয়ান নাগরিককে অস্ত্র হাতে নিতে এবং যুদ্ধ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দেশ "ইথিওপিয়ার জন্য মরে যাওয়া - তিনি বলেছিলেন - আমাদের সকলের জন্য একটি কর্তব্য"।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কী ঘটেছিল কারণ আবির শত্রুরা - টাইগ্রিয়ানরা, যারা ইরিত্রিয়ার সীমান্তে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বাস করে - তাদের অঞ্চলে আধিপত্য অর্জন করার পরে, লাইন ভেঙ্গে রাজধানীর দিকে নেমেছিল?
নির্ণায়ক ধাক্কাউন্নত টাইগ্রিনিয়া হয়েছে বলে মনে হয় জোটটি তারা আগস্টে অন্যান্য বিদ্রোহীদের সাথে স্বাক্ষর করেছিল, অরোমো, যারা, তাদের মতো, তাদের অঞ্চলের স্বাধীনতা অনুসরণ করে,অরোর্মিয়া, ইথিওপিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং সেইসাথে যেখানে দেশের রাজধানী অবস্থিত।
ওরোমো বিদ্রোহীদের নেতারাই ঘোষণা করেছিলেন যে তারা আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে। পত্রিকাটি এ খবর জানিয়েছে সোমালি অভিভাবক, যা অনুযায়ী OLA (Oromo Liberation Army), ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্টের সামরিক শাখা, এটিকে ঘেরাও করার অভিপ্রায়ে রাজধানীর উত্তর ও পূর্বে তার সৈন্যদের অবস্থান করেছে। অন্যদিকে, টাইগ্রিয়ানরা বজায় রেখেছিল যে তারা রাজধানী নিতে আগ্রহী নয় এবং তারা কেবল তাদের অঞ্চলের অবরোধ ভাঙতে চায়। কিন্তু “যদি আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয় টিগ্রয় আদ্দিস আবাবাতে মার্চের দাবি জানাবে, আমরা তা করব,” TPLF মুখপাত্র বলেছেন।
ইথিওপিয়ান সংঘাত এই সময়ে আরও বেশি দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা রাজধানীগুলির একটি নাটকীয় ভুল বিচার, যারা বিশ্বাস করেছিল (বা বিশ্বাস করতে চেয়েছিল) যে আবি শুধু অনুশীলন করছে"একটি পুলিশ অপারেশন" টাইগ্রায়, কোভিড মহামারীর কারণে নির্বাচনের তারিখ স্থগিত করার আদেশ অমান্যকারী অঞ্চলটিকে শাস্তি দিতে, যেমন দেশের বাকি অংশ ছিল। ট্যাঙ্কের ব্যবহার এবং আইন না মেনে বিশ্বের চ্যান্সেলারিগুলিকে খুব বেশি প্রভাবিত করেনি, আমরা জানি আমরা আফ্রিকায় আছি। এমনকি যখন সাংবাদিক এবং মানবিক সংস্থার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখনও বিশ্ব দেশের অভ্যন্তরে কী ঘটছে সে সম্পর্কে সচেতন হয়েছিল। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করতে পছন্দ করি যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
পরিবর্তে পুলিশ অপারেশন পরিণত হয়েছে, একটি প্রাচীন জাতিগত বিদ্বেষের দেশে, পরিণত হয়েছে গৃহযুদ্ধ. সহিংসতা, ধর্ষণ এবং উদ্বাস্তুদের ক্লাসিক ফলাফলের সাথে। জাতিসংঘ কিছু সংখ্যা প্রদান করেছে: অন্তত 400 মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে কারণ সাহায্য কখনোই দেশে প্রবেশ করেনি বা জব্দ করা হয়নি। যদিও 2,7 মিলিয়ন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, হাজার হাজার উদ্বাস্তু। এবং একটি খুব গুরুতর দুর্ভিক্ষ দেখা যাচ্ছে.
এখন কি করতে হবে? উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তিনি বলেন, রাজধানীর পথে দুটি শহর জয়ের পর তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড উভয় পক্ষকে "পূর্ব শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করার জন্য" একটি টেবিলের চারপাশে বসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবং ইউরোপীয় নেতারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক টাইগ্রেতে আরোপিত খাদ্য অবরোধ অবিলম্বে শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু এই মুহুর্তে - যেমন উওল্ডেল চেলাতি দিরার, আফ্রিকান ইতিহাসের অধ্যাপক এবং ম্যাসেরাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান আইএসপিআই-এর জন্য মন্তব্য করেছেন - এটা খুব অসম্ভাব্য মনে হয় যে লড়াইটি একটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ দেবে। তিগরিনিয়া বাহিনী এবং তাদের ওরোমো মিত্ররা - যারা স্থানীয় সূত্রে বলেছে, সমস্ত কৌশলগত কেন্দ্র এবং সরবরাহ রুট নিয়ন্ত্রণ করে, যখন কেন্দ্রীয় সরকার আদ্দিস আবাবা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ইথিওপিয়াতে অবস্থান করছে - মাঠে বিজয় বিন্দুমাত্র। আর একবার রাজধানী পড়ে গেলে ইতিহাস আবার লেখা হয়। যা অতীতের মতো দেখতে পারে: প্রত্যেকের কাছে তার নিজস্ব ক্ষমতা। সর্বোপরি, একক দেশ হিসেবে ইথিওপিয়া কখনোই বিদ্যমান ছিল না.
